অপারেটর

অপারেটর হলো যা অপারেট করে আর যাকে অপারেট করে তা হলো অপারেন্ড (Operand)।যেমনঃ 9>5এখানে ‘>’হলো অপারেটর আর 9 এবং 5 হলো অপারেন্ড (Operand)।একইভাবে +,-,*,/ইত্যাদি হলো অপারেটর।যদি অপারেটর একটা অপারেন্ড কে অপারেট করে তাহলে তাকে unary অপারেটর বলে আর দুটি কে অপারেট করলে binary অপারেটর বলে।যেমনঃ -9 এর জন্য ‘-’ unary অপারেটর এবং 9-5 এর জন্য ‘-’binary অপারেটর।‘>’সবসময়ই binary অপারেটর। অনেক বইয়ে অপারেটরকে এইভাবে আর ও অনেক নামে নামকরণ করা হয়েছে।কিন্ত একজন ভাল প্রোগ্রামার হতে হলে এসব তথ্য আপনাকে মুখস্ত করতে হবে না।তবে প্রোগ্রামিং এর ভাষায় কিছু কিছু অপারেটর এর আলাদা অর্থ আছে,সেই অর্থগুলো জানতে হবে।যেমনঃ ‘=’মানে হলো assignment operator এবং ‘==’মানে হলো সমান সমান।আবার  2< x <3 বুঝাতে x>2 && x<3 লিখতে হয়। অর্থাৎ সি প্রোগ্রামে একসাথে দুইটি শর্ত লিখা যায় না। 2<x<3 লাইনে দুইটি শর্ত আছে, শর্ত দুইটি হলঃ x এর মান 2 থেকে বড় এবং x এর মান 3 থেকে ছোট। শর্ত দুইটি কে আলাদা করে  2<x<3 লাইনটিকে নিচের মত লেখা যায়ঃ x>2 এবং x<3 আবার সি প্রোগ্রামিং এ ‘এবং’ বুঝাতে && ব্যবহৃত হয়। তাই 2<x<3 লাইনটি সি প্রগ্রামে নিচের মত লিখতে হবেঃ
x>2 && x<3
একইভাবে ‘অথবা’বুঝাতে ‘।।’ ব্যবহার করতে হয়। প্রোগ্রাম করতে যেসব অপারেটর লাগবে সেসব অপারেটর,তাদের অর্থ এবং C প্রোগ্রামিং এ কিভাবে লিখতে হয় সেটা ছক আকারে নিচে দেখানো হলো:

অপারেটর

কাজ

উদাহরন

+

দুটি সংখ্যা যোগ করতে ব্যবহৃত হয়।

10+12

 

একটি সংখ্যা হতে আরেকটি সংখ্যা বিয়োগ করতে ব্যবহৃত হয়।

 

14-10

 

 

 

*

 

 

দুটি সংখ্যা গুণ করতে ব্যবহৃত হয়।

 

17*15

a4 +2ab গানিতিক বাক্যটিকে প্রোগ্রামে নিচের মত লিখতে হয়য়ঃ

a*a*a*a*a+2*a*b

বা

pow(a,4)+2*a*b

/

দুইটি সংখ্যা ভাগ করতে ব্যবহৃত হয়।

12/13

==

দুইটি ডাটা সমান বুঝাতে ব্যবহৃত হয়।

x = 10  এবং  y = 10 হলে  x = y

!=

দুইটি ডাটা সমান বুঝাতে ব্যবহৃত হয়।

x = 12  এবং  y = 15 হলে

x = 15

>

Greater than বা একটির তুলনায় আরেকটি বড় বুঝাতে।

x = 10  এবং  y = 5 হলে  x > y

<

Less than বা একটির তুলনায় আরেকটি বড় বুঝাতে।

x = 15 এবং y = 12  হলে y < x

>=

Greater or equal(একটির তুলনায় আরেকটি বড় বা সমান)

x এর মান  y এর সমান বা y থেকে বড় বুঝাতে  x > = y লিখা হয়।

<=

Less than or equal (একটির তুলনায় আরেকটি ছোট বা সমান)

x এর মান  y এর সমান বা y থেকে ছোট বুঝাতে  x < = y

%

ভাগশেষ বের করতে।

12%2 এর মান  0

13%2  এর মান  1

14%3 এর মান  2

=

ডান পাশের ভেরিয়েবল বা কোন মান বাম পাশের ভেরিয়েবলে রাখতে ব্যবহৃত হয়।

x=10 লিখলে 10 মানটি x এর address এ রাখবে।

x = y  লিখলে y ভেরিয়েবলটি x এর address এ রাখবে।

++

ভেরিয়েবলের মান এক বাড়াতে ব্যবহৃত হয়।

ধরি,  x = 10;

x++ লেখলে x এর মান হবে  11

 

— –

ভেরিয়েবলের মান এক কমাতে ব্যবহৃত হয়।

ধরি,  x = 10;

x– –  লেখলে x এর মান হবে  9

x++ এবং ++x এর মধ্যে পার্থক্যঃ x++ এর মানে হলো x এর মান এক বাড়াবে কিন্ত আগের মানটিই ফেরত দেবে।যেমনঃ
এখানে,y=x++ লেখার কারণে I এর মান 1 বেড়ে হবে 2 কিন্ত যেহেতু x++ আগের মানটি ফেরত দেবে তাই y এর মান হবে 1 ।নিচের প্রোগ্রামটি রান করেই দেখুনঃ

Code Example

OUTPUT

x=2
y=1

++x মানে হলো x এর মান এক বাড়াবে এবং বাড়ানোর পর যে নতুন মানটা হয় সেটাই ফেরত দেবে।নিচের প্রোগ্রামটি রান করেই দেখুন।

Code Example

OUTPUT

x=2
y=2